সারা দেশ
গত ৭ই জানুয়ারী আবারো উত্তপ্ত হয় গোটা বাংলাদেশ। রাজধানরীর কলাবাগানে ঘটে যায় আবারো নারী ঘটিত একটি নেক্কারজনক ঘটনা।এর পর থেকেই ঘুরপাক খেতে থাকে এই বিষয়টি। বলতে গেলে রহস্যের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে মাস্টারমাইন্ড স্কুলছাত্রীর ’/মৃ’/ত্যু’/র’/ ঘটনা। ঘটনার দিনই গ্রেফতার হয়েছেন অভিযুক্ত দিহান। আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে দিহানের কলাবাগান বাসার দারোয়ান দুলালকে। উদ্ধার করা হয়েছে বাসাটির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। এসবের মধ্যেই তৈরি হয়েছে দিহানের বয়স নিয়ে বিভ্রান্তি।
ফারদিন ইফতেখার দিহানের পরিবারের মতে সে এখনো কিশোর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকেই তার বয়স আঠারোর নিচে বলে দাবি করছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দিহানের বয়স ইতোমধ্যেই ১৮ পার হয়ে গেছে।
জানা গেছে, জন্মসনদ অনুযায়ী দিহানের জন্ম তারিখ ২০০২ সালের ২৫ মে। সে হিসেবে ঘটনার সময় তার বয়স ছিল ১৮ বছর সাত মাস।
বাংলাদেশের শিশু আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচের বয়সীদের সাধারণত শিশু হিসেবে গণ্য করা হয়। ফৌজদারি কোনও অপরাধে ১৮ বছরের নিচের কেউ জড়িত থাকলে তাকে গ্রেফতার, গ্রেফতার পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদ ও বিচারিক প্রক্রিয়ায় শিশু আইন অনুসরণ করতে হয়। সে হিসেবে দিহানের বয়স ১৮ বছর পার হওয়ায় শিশু আইন প্রতিপালনের আর কোনো সুযোগ থাকছে না।
এ প্রসঙ্গে পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, মামলার তদন্তে দিহানের বয়স যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত বয়স উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগ-পত্র দেওয়া হবে। বয়স অনুযায়ী আদালত পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেবেন।
দিহানের পরিবার জানিয়েছে, ২০২০ সালে ধানমন্ডির ম্যাপললিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে ’ও’ লেভেল সম্পন্ন করে দিহান। বর্তমানে সে জিইডি বা জেনারেল এডুকেশনাল ডেভেলাপমেন্ট পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
জন্মসনদ অনুযায়ী, ২০০২ সালের ২৫ মে রাজশাহীর দুর্গাপুর থানাধীন রাতুগ্রামে তার জন্ম হয়। তার জন্ম নিবন্ধন নম্বর ২০০২৮১১৩১৫৯০০০২২৫। ২০০৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর নিবন্ধন করা হলেও ২০১৬ সালের ২ জানুয়ারি এই সনদ ইস্যু করা হয়। রাজশাহীর দুর্গাপুরের ২ নং কিশমত গণকৈড় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানা এই জন্ম-সনদ প্রদান করেন।
আইন অনুযায়ী দিহানের বয়স ১৮ বছরের নিচে হলে সে তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়ায় শিশু হিসেবে গণ্য হয়ে কিছু সুবিধা পেত। ১৮ বছরের নিচে হলে তার বিচার হতো জুভেনাইল কোর্ট বা শিশু আদালতে। কিন্তু দিহানের বয়স ১৮ বছর অতিক্রম হওয়ার কারণে অন্যান্য সাধারণ অপরাধীর মতো তার বিচার হবে নারী ও শিশু নি’/র্যা’/ত’/ন’/ দমন আইনে। আদালত তার অপরাধের মাত্রা ও মোটিফ অনুযায়ী শা’/স্তি’/ বা দ’/ণ্ড’/ নির্ধা’/র’ণ করবেন। আদালতে ’/ধ’/র্ষ’/ণে’/র’/ অপরাধ প্রমাণিত হলে তার ’/মৃ’/ত্যু’/দ’/ণ্ড বা যাব’/জ্জী’/ব’/ন কা’রা/দ’/ণ্ড হতে পারে।
এ দিকে নতুন খরব এই যে এই ঘটনার একটি সিসি টিভি ফুটেজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আর সেই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে আনুশকাকে। সেখানে দেখা যায় আনুশকা ঐ বাড়িতে ৯্০ মিনিট অবস্থান করে। তবে এই সিসিটিভি ফুটেজে সব থেকে রহস্যময় বিষয় একটিই। আর তা হলো সেখানে দেখা যাচ্ছে আরো তিন জন ব্যক্তিকে। তবে ফুটেজে তাদের ছবি ভালো বোঝা যাচ্ছে না বলে সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।