বিশেষ প্রতিবেদন
চীনের করোনা ভাইরাস বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এই করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় বড় সমস্যায় পড়েছে। এদিকে, করোনা ভাইরাসের কারণে বর্তমানে ইউরোপের দেশ গুলোর অবস্থা সব থেকে খারাপ। করোনা ভাইরাসে ইউরোপের দেশ গুলোতে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সাথে প্রতিদিন ইউরোপের দেশ গুলোতে প্রাণনাশের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার কারণে বর্তমানে ইউরোপের দেশ গুলো অনেক বড় সমস্যার মধ্যে পড়েছে।
আরো পড়ুন
Error: No articles to display
করোনাভাইরাসে মহামারি মারাত্বক আকার ধারণ করেছে ইউরোপের দেশগুলোতে। এর মধ্যে বিগত ২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৬১৫ জন। স্পেনে মৃত্যু হয়েছে ৩৯৪ জনের, যা ইতালির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। একই সঙ্গে ফ্রান্সে মারা গেছে ১১২ জন।
এতে করে ২২ মার্চ, রবিবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইউরোপের এই তিন দেশেই মারা গেছে ১ হাজার ১২১ জন। এমন খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যমতে, গত একদিনে ইতালিতে করোনায় মারা গেছে ৬৫১ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৭৬ জনে। এটাই এখন পর্যন্ত কোনো দেশের সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
একাধিক সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে ওই খবরে বলা হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিগত স্পেনে ৩৯৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এতে করে দেশটিতে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে ১ হাজার ৭৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২৮ হাজার ৫৭২ জনে দাঁড়িয়েছে। যা গত শনিবার ছিলো ২৪ হাজার ২৯ জন।
এমতাবস্থায় দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছে স্পেন। এই অবস্থা আরো ১৫ দিন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ।
এদিকে ফ্রান্সের উচ্চপদস্থ এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, করোনাভাইরাসের প্রদুর্ভাবের কারণে ৩৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে করে এ ভাইরাসে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা ৬৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে। আর করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজারের বেশি। দেশটিতে প্রতিদিন চার হাজার নাগরিকে করোনার পরীক্ষা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের শেষের দিকে চীনে প্রথম করোনা ভাইরাস দেখা দেয়। এরপর থেকে এই করোনা ভাইরাস বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে বর্তমানে চীনে করোনা ভাইরাস অনেক নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। দেশেটিতে করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কমে এসেছে। কিন্ত বর্তমানে ইউরোপের দেশ গুলোর অবস্থা সব থেকে খারাপ।